মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
বাসুদেব রায়, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
ভয়াল ২১ আগস্ট স্বরণে বুধবার নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দোশে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও নিহতদের স্মরনে প্রতিবাদ র্যালী, বিক্ষোভ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে দিনের শুরুতে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রতিবাদ র্যালী ও বিক্ষোভ মিছিল বের করা হলে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে র্যলীটি আবারও উক্ত কার্যালয়ে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। দিনটি স্বরনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার উপর বর্বরচিত গ্রেনেড হামলার নিন্দা জানিয়ে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। ডিমলা সদর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি ইব্রাহীম কামাল ডিআই এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা আ’লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, আশরাফুল হক পিনু, প্রভাষক, ডিমলা ইসলামিয়া কলেজ, যুগ্ন সম্পাদক বাবু নিরঞ্জন রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল সরকার মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবাহক বাবু শৈলেন চন্দ্র রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সায়েম সরকার, যুগ্ন আহবায়ক আব্দুর রশিদ লেবু প্রমূখ। উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম সভায় বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় আরোকটি কলঙ্কজনক অধ্যায়, সেই ভয়াল বিভীষিকাময় আজ ২১ আগস্ট। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। জাতির সামনে আবাও স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির একাত্তরের পরাজয়ের স্পৃহা। আমার জানি বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকার সময়ে খোদ রাজধানীতে প্রকাশ্যে চালানো হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত মারণাস্ত্র গ্রেনেড দিয়ে এভয়াল ও বীভৎস হামলা। ওই সরকারের সময় মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই এ নারকীয় হামলায় জড়িত ছিল তা ৭১ এর যুদ্ধঅপরাধীর মত তদন্তের মাধ্যমে জাতির সামনে চিহিৃত করা দরকার। উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সায়েম সরকার তার বক্তব্যে বলেন, শোকাবহ রক্তাক্ত আগস্ট মাসেই আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর লক্ষ্যে ঘাতক হায়নার দল গ্রেনেড দিয়ে রক্ত¯্রােতের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশস্থলে। ঘাতকদের টার্গেট ছিল এক ও অভিন্ন। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নেতৃত্বশূন্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতেই এ নারকিয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।